অনলাইন ডেক্স:
সব আশঙ্কা সত্যি করেই আজ শুক্রবার সকালে ভারতের ওডিশার উপকূলে আছড়ে পড়ল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এদিন সকাল ৯টার দিকে ওডিশার পুরি জেলার চিলিকা হ্রদের পশ্চিমপাড় দিয়ে ভূ-ভাগে প্রবেশ করে ‘ফণী’। আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, ভূ-ভাগে আঘাত হানার সময় ‘ফণী’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। এদিন ওডিশার উপকূলভাগে ‘ফণী’ আঘাত হানার সময় তাঁর ব্যস ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
প্রাথমিকভাবে ‘ফণী’র ভূ-ভাগে প্রবেশের দৃশ্য ছিল শিউরে ওঠার মতো। প্রবল বেগে বইছে হাওয়া। হাওয়ার দাপটে নুয়ে পড়ছে উপকূলে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা নারকেল গাছগুলো। লণ্ডভণ্ড পুরির সমুদ্রের ধারে থাকা সমস্ত দোকানপাট। পুরিতে বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে এরই মধ্যে পানির ট্যাঙ্কসহ একাধিক বস্তু উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
দুপুরের দিকে পুরিতে বাতাস বইছিল ১৭৫ কিলোমিটার বেগে। যদিও আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ঝড়ের তাণ্ডব কমতে থাকবে ওডিশায়। বিকেলের পর পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে ‘ফণী’।
‘ফণী’র দাপটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওডিশার গঞ্জাম জেলা। ওডিশার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র পুরিতে ঝড়ের তাণ্ডবে একের পর এক ভেঙে পড়ছে হোটেলের কাচের জানালা। উড়ে গিয়েছে ফাইবারের ছাদ। বেশ কয়েকটি হোটেলের একাংশ ভেঙে পড়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
‘ফণী’র প্রভাবে পুরির বিস্তীর্ণ এলাকা এরই মধ্যে পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে। বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ সকালে ঘূর্ণিঝড় ওডিশায় আছড়ে পড়ার ভয়াল আওয়াজ ও আতঙ্কে কেন্দ্রাপাড়ার আশ্রয়শিবিরে এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওড়িশাজুড়ে ঝড়ের পাশাপাশি চলছে ভারি বৃষ্টিপাত।
ওডিশার ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা এইচ আর বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র গতিপথে ওডিশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টা শহর পড়েছে। যার মধ্যে ওডিশার গোপালপুর, পুরি, ভুবনেশ্বর, পারাদীপ, চাঁদবালি, বালাসোর ও কলিঙ্গপত্তনামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুরির জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ওডিশার পুরি ও গোপালপুরের বিভিন্ন এলাকা।