অনলাইন ডেক্স:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব জেটিকে জাহাজশূন্য করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি চারটি মনিটরিং টিমের মাধ্যমে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অভ্যন্তরীণভাবে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক আজ শুক্রবার দুপুরে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে বন্দরের পণ্য ওঠানামা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। মূল জেটি থেকে সব ধরনের জাহাজ ও পণ্য হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
‘জেটি থেকে সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাইটারসহ মাছ ধরার ট্রলারকে কর্ণফুলী নদীর উজানে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বন্দরের জেটিকে জাহাজশূন্য করার পাশাপাশি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, শোর ক্রেন, আর টিজিসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন বন্দর সচিব।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব জেটিকে জাহাজশূন্য করা হয়েছে। ছবিটি আজ শুক্রবার দুপুরে তোলা। ছবি : এনটিভি
এদিকে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আট লাখ মানুষের ধারণক্ষমতার আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে ভারতের ওডিশা রাজ্যের পুরি উপকূলে আঘাত হেনেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে ওডিশা উপকূলে থাকবে ‘ফণী’র প্রভাব। এর পর ক্রমেই উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে ঘূর্ণিঝড়টি। পরে আগামীকাল সকালে দুর্বল হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে এটি।
পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ‘ফণী’ আছড়ে পড়বে বাংলাদেশে। তবে বাংলাদেশে আসার পর তার গতিবেগ অর্ধেক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।