অনলাইন ডেক্স:
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো ‘বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ২০১৯’ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আজ পর্দা নামবে ছয়জাতির এই ফুটবল আসরের। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ফেভারিটের তকমা পেয়ে এসেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্ব শেষে সেমিফাইনালেও ফেভারিটের মতো খেলেই ফাইনালে উঠে যায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে লাওসের মুখোমুখি হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। জিতলেই স্বপ্নপূরণের উল্লাসে মেতে উঠবেন সানজিদা-তহুরা-মার্জিয়ারা।
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী দলকেই পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্ব আর সেমিফাইনাল মিলিয়ে মোট ১৮টি গোল করেছে দলটি। গ্রুপ পর্বে মঙ্গোলিয়াকে ৫-০ গোলে হারানোর পর তাজিকিস্তানকে ৬-০ ব্যবধানে হারায় লাওস। সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-০ এবং কিরগিজস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ। সেমিতে মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।
ফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচই শিরোপা জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘ফাইনালে ওঠার প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার শিরোপা জিতে বঙ্গমাতা ফুটবলের প্রথম আসরটি স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’
তবে লাওসের দুর্দান্ত আক্রমণভাগের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে, মানছেন কোচ রব্বানী। ফাইনালটা তাই সহজ হবে না জানিয়ে বলেন, ‘আগের তিন ম্যাচে আমাদের ডিফেন্ডারদের তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি। তাদের আসল পরীক্ষা হবে ফাইনালে। কেননা, লাওসের আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। তবে আশা করছি, আমাদের ডিফেন্ডাররা তাল মিলিয়ে খেলতে সক্ষম হবে।’
দেশের মাটিতে ফেভারিট হিসেবে ফাইনাল খেলছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে এটাকে বাড়তি চাপ হিসেবে মানতে নারাজ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী। ফাইনালে চাপমুক্ত ফুটবল খেলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘নিজেদের মাঠে আমরা আগেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলেছি। এটা কোনো চাপ নয়। আমাদের লক্ষ্য ঘরের ট্রফি যেন ঘরেই থাকে। ফাইনালে আমরা সেভাবেই খেলব।’
অন্যদিকে, লাওসের কোচ পুরো টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার ইঙ্গিত দেন। স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াইটা সহজ হবে না জানিয়ে বলেন, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা কঠিন, সেটা আমরা জানি। কিন্তু এই মেয়েদের এএফসি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলার এবং জেতার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল পার হয়ে এখন ফাইনালে চলে এসেছি। শেষ লড়াইয়ের জন্য দল পুরোপুরি প্রস্তুত। গত ম্যাচগুলোতে আমরা যেভাবে খেলেছি, ফাইনালেও একইভাবে আক্রমণাত্মক খেলতে চাই।’
বাংলাদেশ দলের দুই ফরোয়ার্ডের মধ্যে গ্রুপ পর্বে চোট পাওয়া সিরাত জাহান স্বপ্নাকে ফাইনালে পাচ্ছে না দল। তবে টুর্নেমেন্টে দুই গোল করা কৃষ্ণা রানী সরকারের চোট সেরে ওঠায় তাঁর শুরুর একাদশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ।