অনলাইন ডেক্স:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ছাড়া বাতাসের গতিবেগও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ‘ফণী’র কারণে বরিশাল থেকে আজ শুক্রবারও কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক আবদুল হালিম মিয়া জানান, ভারত পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল কার্যালয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ‘আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।’
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরিশালের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ফণী’ মোকাবিলায় বরিশাল জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।
আজ সকাল ৯টার দিকে ভারতের ওডিশা রাজ্যের পুরি উপকূলে আঘাত হেনেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। দুপুরের পর এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পরে এটি বাংলাদেশের খুলনা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত করবে।
তবে বাংলাদেশে আসার পর তার গতিবেগ অর্ধেক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।