শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

যানজটে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯
  • ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পূর্ব প্রান্তে টোল আদায় বন্ধ থাকায় টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মহাসড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রসুলপুর এলাকায় হঠাৎ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন যাত্রীরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় সেখানে অবস্থানরত টাঙ্গাইলের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের (হাকিম) গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

 

ঘটনাস্থলে থাকা টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুপুরের দিকে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িটি ঢাকামুখী লেন হয়ে আসছিল। এ সময় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ওই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

 

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে যানবাহন সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যেতে পারছে না। ফলে সেতুর পূর্ব প্রান্তে টোল প্লাজার টোল গ্রহণ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।

 

কয়েকজন বিক্ষুব্ধ যাত্রী গণমাধ্যমকে বলে, ছয়ঘণ্টা ধরে তারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু গাড়ি একসুতোও নড়ছে না। তাদের অভিযোগ, রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

একজন মাইক্রোবাসচালক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কাল রাত ১০টায় ঢাকা থেকে এসেছি। সাভার থেকে জ্যাম ঠেলতে ঠেলতে এখানে এসেছি। কিন্তু ভোর ৪টা থেকে এখন বেলা ১২টা বাজে এক জায়গায় বসে আছি। কোনো গাড়ির নড়াচড়া নেই। আমরা রোজা আছি। না খেয়েই রোজা রাখছি। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’

 

আরেক যাত্রী বলেন, ‘গতকাল আমার ভাই বিকেল ৫টায় মারা গেছেন। আবদুল্লাহপুর থেকে বাসে উঠতে পারিনি। পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাত ৮টায় ট্রাকে উঠছি। দুপুর ১২টা বাজে। এখন এই জায়গায়ই আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451