এফটিপির (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) করা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও টেস্ট ম্যাচ নেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। টেস্ট খেলুড়ে একটা দেশের জন্য এটি চরম অনীহার বার্তা দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বিশ্বকাপে যদি অস্ট্রেলিয়াকে আমরা হারিয়েও দেই, তাতেও তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানাবে না সিরিজ খেলতে।এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে পারেনি তবে অজিদের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। ৩৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৩৩ রান করে ৪৮ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।এমন হারের পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনামে মুখরিত বিদেশি গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।ওই ম্যাচের পর অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সমালোচনায় মেতেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। তারাও হতাশ দেশের ক্রিকেটের এমন নীতির কারণে।এ নিয়ে টুইট করেন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক মেলিন্ডা ফারেল লিখেছেন, এমন একচোখা নীতির জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা হওয়া উচিত।এছাড়া হতাশা প্রকাশ করেছেন বিবিসির সাংবাদিক জিম ম্যাক্সওয়েল। ট্রেন্ট ব্রিজে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভাবা উচিত। যারা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের জন্য এটা ভীষণ হতাশার।দীর্ঘ ১৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। তাও আবার ডারউইন আর কেয়ার্নসের মাঠে।ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলীয় অনেক সাংবাদিক টুইট করেন এই বিষয়টি নিয়ে। তারা মনে করেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিৎ, বাংলাদেশকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়া।
আর/টি