দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
কী ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মিছিল-সমাবেশ জাতীয় কর্মসূচি পালন করা হবে।
বয়স সীমা প্রত্যাহার করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন করছে সেটাকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের উচিত হবে যৌক্তিক দাবির আন্দোলন বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে চলে আসা। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় ফখরুল নিন্দা প্রকাশ করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক মাসুদুর রহমান বুয়েটে ছাত্রদলের ভিপি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা। আমরা তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন না, কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনে সম্ভবত তিনি একটি বাম সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, এ বিষয়ে আমরা জানি না। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সঙ্গে জড়িত। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর এমন মিথ্যাচার নিন্দনীয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নাতি নিখোঁজ হওয়ার পর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ স্টেটমেন্ট দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে (সৌরভ) ফিরে পাওয়ার খবর নিঃসন্দেহে তাঁর পরিবারের জন্য স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এম ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নিখোঁজ রয়েছেন তাদের এখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা নিয়মিত চলবে এবং আগামী শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা আবারো বসবে।
এ ছাড়াও দলের নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে আজকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।