যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী কলামিস্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ এনেছেন, তা আবারও অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ওই নারী আমার পছন্দের সঙ্গে যান না।’
ই জিন ক্যারল নামের ওই নারী গত শুক্রবার দ্য ওয়াল ম্যাগাজিনের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
৭৫ বছর বয়সী ক্যারল অভিযোগ করেন, নব্বইয়ের দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের একটি বিপণিবিতানে তাঁর ওপর যৌন হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ক্যারল ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ কথা বলছেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দ্য হিল নামের একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি—প্রথমত, ওই নারী আমার পছন্দের সঙ্গে যান না। দ্বিতীয়ত, এ রকম কোনো ঘটনা কখনো ঘটেনি।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পর জিন ক্যারল বলেন, ‘আমি যে পছন্দের কাতারে পড়ি না, এটা জেনে আমি খুশি।’
পরে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও এমএসএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারল জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বিবেচনা করছেন তিনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জিন ক্যারল জানান, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বার্গডর্ফ গুডম্যান নামের একটি অভিজাত পোশাকের দোকানে কেনাকাটা করার সময় ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে অথবা ১৯৯৬ সালের শুরুতে ট্রাম্প ও ক্যারলের দেখা হয়েছিল। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের জন্য সে সময় খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিকও হয়েছিলেন তিনি। ফলে অনেকেই ট্রাম্পকে চিনতেন।
ক্যারল আরো জানান, ওই দোকানে ট্রাম্প একজন নারীর জন্য পোশাক কেনার ব্যাপারে ক্যারলের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন। ট্রাম্প কৌতুক করে বলেছিলেন যে ক্যারল ওই পোশাকটি পরে তাঁকে দেখাতে পারেন কি না। পরে ট্রায়াল রুমে ট্রাম্প একটি দেয়ালের সঙ্গে ক্যারলকে চেপে ধরে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন ক্যারল।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে ২০১৬ সালে আরো একজন ধর্ষণের অভিযোগকারীর ব্যাপারেও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
জেসিকা লিডস নামের এক নারী অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প আশির দশকে বিমানে তাঁর গায়ে হাত দিয়েছিলেন।
এ অভিযোগের জবাবে ট্রাম্প এক সমাবেশে বলেন, ‘তিনি আমার পছন্দের নন।’
এ নিয়ে ক্যারলসহ মোট ১৬ জন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন। অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।