অনলাইন ডেস্কঃ
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, বাড়ির উদ্দেশে যাত্রাপথে মানুষের ভোগান্তি ততটাই বাড়ছে। সড়ক, রেল ও নৌপথ—সবক্ষেত্রেই সমান ভোগান্তি মানুষের। কিন্তু তারপরও বাড়ির পথে যাত্রা থেমে নেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শত ভোগান্তিও মেনে নিচ্ছেন সবাই।
আজ শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ। অনেকে গতকাল থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত ট্রেনের দেখা মেলেনি। আর এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মনে।
এর মধ্যে ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ টেনটির গতকাল রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটির ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটির ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয় ১২টা ২০ মিনিটে।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে, মহাখালী বাস টার্মিনালে গতকাল রাত থেকেই মানুষ অপেক্ষা করলেও ঠিক সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কোনো বাস ১০ ঘণ্টা, আবার কোনোটি ১২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে।
এর আগে যে গাড়িগুলো ঈদযাত্রায় ছেড়ে গেছে, সেগুলো ঠিক সময়ে ফিরে না আসায় এ দুর্ভোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, যাঁরা আগে থেকে টিকেট কেটে রাখেননি, তাঁদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিলানে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চগুলোতে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে লঞ্চগুলোতে। কিন্তু এরপরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও লঞ্চগুলো ছাড়া হচ্ছে না। ফলে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় অত্যধিক। আর এ জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।