অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দাবি।
নিহত ব্যক্তির নাম হাসান। তিনি জাদিমুরা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি তিন রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হলেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ দাবি করেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা জাদিমুরা পাহাড়ে অবস্থান করছে—এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি করে।
‘গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
ওসি আরো দাবি করেন, এ সময় পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার বাড়ি থেকে যুবলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ওমর ফারুককে ডেকে নিয়ে অদূরবর্তী পাহাড়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার জন্য পরিবারের সদস্যরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন।
ওমর ফারুক হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার মো. মোনাফ কোম্পানির ছেলে। তিনি জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিরও সভাপতি।
এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আসামি করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার দুই আসামি মোহাম্মদ শাহ ও আবদুস শুক্কুর নিহত হন। তাঁরা জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।