মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংহিসতার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কামারখাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার।
জানা গেছে, সম্প্রতি কামারখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে বিএনপি কর্মীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওই ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আমির হোসেন বেপারী গ্রুপ বাজার এলাকায় শুক্রবার সমাবেশ ডাকে। একই স্থানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভূতুসহ অপর আরেকটি গ্রুপ কর্মসূচি দেয়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কামারখাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে কামারখাড়া বাজার এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ব্যাপারে কামারখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন বেপারী জানান, গত উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জগলুল হালদার ভূতু এই উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচন না করায় তিনি বিএনপি নেতা কর্মীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করেন। এখন তিনি বিএনপি নেতা কর্মীদের দলে ভিড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার এই বেআইনি কর্মসূচির বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি অয়োজন করি। কিন্তু ভূতূ হালদার বেআইনিভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভঙ্গ করার জন্য একই স্থানে সমাবেশ ডাকেন। ফলে প্রশাসন আমাদের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জগলুল হালদার ভূতূ জানান, কামাড়খাড়া বাজারে আমাদের দলীয় কর্মসূচি ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ায় সহিংসতা এড়াতে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।