বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান প্রবাসী মার্কিন নেতাদের বরাত দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রবাসী বাঙালিরাও অংশ নেন। জানাজায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের গেরিলা বাহিনীর এই সদস্যকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।
সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবে বলে এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামও খোকার মরদেহের সঙ্গে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানান শায়রুল কবীর খান।
ওই দিন সকালে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে একাত্তরের গেরিলা বাহিনীর এই কমান্ডারের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
আজ বিকেলে দলের মহাসচিব জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বসবেন। তারপরই পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাদেক হোসেন খোকার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কর্মসূচি পরে গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান শায়রুল কবীর খান।
গতকাল সোমবার দুপুরে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আমার বাবা অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্ক সময় রাত ২টা ৫০ মিনিটে ও বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন।’ তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই তাঁকে নিউইয়র্কে ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সাবেক মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকা ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা।
সেখানে অবস্থানকালে বিএনপি নেতার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় গত রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক মেয়রের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তার পরেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাদেক হোসেন খোকা মারা যাওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে সেই আশ্বাস পুনরায় ব্যক্ত করা হয়।