সৌদি আরব সরকার আরো একজন ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিককে পুলিশ হেফাজতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে ওই সাংবাদিককে আটকের পর হত্যা করে প্রিন্স সালমানের সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেট্রো এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ভিন্নমতাবলম্বীর সাংবাদিক তুর্কি বিন আব্দুল আজিজ জাসেরকে আটক করা হয়। ব্রিটিশ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সাংবাদিক মানবাধিকার লঙ্ঘনে সৌদি সরকার ও রাজপরিবারের ভূমিকার কথা জাসের তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে তুলে ধরতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, টুইটারের একটি ফেইক আইডি থেকে জাসের সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বন্দি অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়।
ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, টুইটারের দুবাই অফিস থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ জাসের সম্পর্কে তথ্য পায় ও এর পরই তাঁকে আটক করে।
ওই সূত্রের তথ্য মতে, ‘ভিন্ন মতাবলম্বী অথবা সমালোচকদের জন্য টুইটার এখন বিপজ্জনক ও অনিরাপদ একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। সবাই এখন ঝুঁকি ও চাপের মুখেই কথা বলেন। সৌদি আরবের নাগরিকদের টুইটার অ্যাকাউন্টের ওপরে গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়। আমরা টুইটার ব্যবহারকারীরা এখন আর মোটেই নিরাপদ নই।’
সূত্রটি জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক উপদেষ্টা সাউদ আল-কাহতানি একটি সাইবার গুপ্তচর চক্র গড়ে তোলেন ও তারাই টুইটারের দুবাই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর কাহানিকে উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।