শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড পাওয়া বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল নাইন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে আজ সোমবার বিচারপতি শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. আমিন উদ্দিন এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে ২৯ অক্টোবর দুদকের মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল নাইন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর একই আদালত শুল্ক ফাঁকির মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তিনিও একই বেঞ্চ থেকে জামিন পান। সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত।
রায়ে, মামলার অপর আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এ ছাড়া আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী। পরে মামলাটি তদন্ত করে সংসদ সদস্য হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। সে বছরের ২০ আগস্ট বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত।