বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনও দেশি পুরনো পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা মিসর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে গত ৪৭ দিনে ৮২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম চালু করেছে। খোলা বাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে রাজধানীতে এ কার্যক্রম চলছে। প্রথমদিকে ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম চালু করলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৫০ ট্রাক করা হয়েছে। তবে এসব উদ্যোগ পেঁয়াজের বাজারে
\হইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজী এম এ মাজেদ মনে করেন পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হতে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। তিনি বলেন, আসলেই বাজারে পেঁয়াজের কোনও মজুত নেই। চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় কমছে না দাম। সপ্তাহখানেক পর দেশি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করলে চাহিদা কমে যাবে এবং বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
সোমবার বিকেলে পেঁয়াজের মজুত পরিস্থিতি জানতে কয়েকজন আমদানিকারককে ডেকে পাঠায় শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর। গত ১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন এমন ১০ জন আমদানিকারককেই ডাকা হয়। তারা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম অনেকটাই কমে যেত। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ হাজার টন আসত। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ। আর মিয়ানমার সম্পর্কে তাদের ধারণা কম। পেস্ননে ৮০ থেকে ১০০ টন আসার কথা শুনেছেন। এই মুহূর্তে আমদানিকারকদের কাছে কোনও পেঁয়াজ মজুত নেই।