ভারতের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বে ঝাড়খণ্ডের ১৩ টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘন্টা পরেই রাজ্যের গুমলা জেলার বিষ্ণুপুরে বোমা মেরে একটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। খবর এনডিটিভির।
প্রথম সারির পুলিশ কর্মকর্তা শশী রঞ্জন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের কোন খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ ঘটনার কোন প্রভাব পড়েনি।
উল্লেখ্য, শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এই প্রথমবার ঝাড়খণ্ডের কোনও মিত্রশক্তি ছাড়াই বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। ফলে, কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলটিকে। এই নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস এবং জাতীয় জনতা দলের (আরজেডি) মতো বিরোধী জোটের সঙ্গে জোর টক্করের মুখোমুখি বিজেপি। পাঁচ দফার নির্বাচনের প্রথম দফায় ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস। জেএমএম লড়ছে চারটি আসনে এবং আরজেডি তিনটি আসনে।
জানা গেছে, প্রথম দফার নির্বাচনে মোট ১৮৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্রামপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী। লোহরদাগা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান রামেশ্বর ওরাওঁ। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। বিকাল তিনটায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
ভোটপর্ব শুরুর আগে ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস শনিবার সকালে টুইটে রাজ্যবাসীকে “নতুন ঝাড়খণ্ড” গড়ার লক্ষ্যে ভোটদানের অনুরোধ জানান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্মের নতুন ভোটারদের নতুন ঝাড়খণ্ড গড়ার লক্ষ্যে ভোট দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। ঝাড়খণ্ডের উন্নতি, উন্নয়ন এবং দেশ ও জাতির অখণ্ডতা ধরে রাখতেই তাদের ভোট অতি প্রয়োজনীয়।’
২০০০ সালে বিহার থেকে আলাদা হওয়ার পর চতুর্থবারের মত ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্বে ৩৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা আনুমানিক ১৮ লক্ষ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার পাঁচ জন। বাকি ভোটাররা পুরুষ। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ভোট হবে ঝাড়খণ্ডে। ভোট গণনা হবে ২৩ ডিসেম্বর।