ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অব্যাহত ফিক্সিং কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইসিসি। দুর্নীতি রুখতে প্রতিটি বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে কাজ করছে বোর্ডগুলো। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক ধাক্কার নাম সাকিব আল হাসান। সামান্য তথ্য গোপন করার অপরাধে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে সতর্ক হয়ে গেছে বিসিবি। আসন্ন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রতিটি দলের সঙ্গে দিচ্ছেন দুর্নীতি দমন শাখার সদস্য। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, তারা এখন ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এটি (দুর্নীতি) আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বাড়ছে। যত দিন যাচ্ছে, তত বাড়ছে। এটা নিয়ে ওরাই (এসিইউ) সবকিছু করছে। আমাদের শুধু অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। প্রতিটি দলের সঙ্গে যদি দুর্নীতি দমন শাখার লোক নিয়োগ করতে হয় সেখানে বেতন আছে, থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা এসব করতে রাজি। আমরা বলেছি যে, খেলাটা যতটা সম্ভব নিরাপদ করতে চাই। ওরা (এসিইউ) আমাদের বলেছে, আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’
দুর্নীতি দমন শাখায় কারা কারা কাজ করছেন, সেই বিষয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘সাধারণত আমাদের দুর্নীতি দমন শাখায় যারা আছে, তারাই নিয়োগ দেবে। এ কাজে অভিজ্ঞদেরই সাধারণত নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা আগে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে। প্রতিটি টিমকে আবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যারা যারা স্পনসর হয়েছে তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটা ওরা ওদের মতো করবে। এটার মধ্যে আমরা নাক গলাই না। এখানে কে কে কাজ করছে আমরা জানতেও চাই না। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। এটা স্বাধীন রাখাই ভালো।’