বিপিএলের প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছিলেন তামিম ইকবাল। সে দলে থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদিরাও ছিলেন। ঢাকা প্লাটুনের বিপিএলের শুরুটা তাই ভালো হয়নি কাল। আজ সে হতাশা ঝেড়ে জেগে উঠেছেন তামিম। দিনের শেষ ম্যাচে তাই বেশ বড় সংগ্রহই পেয়েছে ঢাকা। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছে ঢাকা। শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান তুলেছে প্লাটুন।
ঢাকার ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ হতাশাজনক। মুজিব-উর-রহমানের প্রথম বলেই আউট এনামুল হক। অপর প্রান্তে তামিম ইকবাল ছিলেন বেশ সাবধানী। কিছুক্ষণ পর মেহেদী হাসানও বিদায় নিলে রীতিমতো খোলসে ঢুকে যান জাতীয় দলের ওপেনার। পাওয়ার প্লে শেষে ঢাকার স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৮। তামিম ইকবালও তাঁর প্রথম ২১ বলে তুলেছেন মাত্র ১৩ রান। ইনিংসের প্রথম চারটাও পাওয়ার প্লের পরের ওভারে।
জাতীয় দলের ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য সরকারকে পেয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মেরেছেন তামিম। দশম ওভারের ঘটনা সেটি। সে ছক্কাতেও অবশ্য স্ট্রাইক রেট এক শ পার হয়নি তামিমের। ১০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর ৫৯। তামিমের ২৯ রান ঠিক ৩০ বল। এরপরই খোলস ভেঙেছেন তামিম। সৌম্যর বলেই ফিফটি ছোঁয়ার আগে আরও দুই ছক্কা মারা হয়ে গেছে তাঁর। ৪০ বলে ফিফটি ছোঁয়া তামিম যোগ্য সঙ্গী পেয়েছেন থিসারার মাঝে। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার উইকেটে এসেছেন ১৫তম ওভারে। ঢাকার স্কোর তখন ১০১। মাত্র ১৫ বল স্থায়ী জুটিতে ৪৮ রান তুলেছেন দুজন। এর মাঝে আবু হায়দারের ৫ বল থেকেই ২২ রান তুলেছেন থিসারা পেরেরা।
দাসুন শানাকাকে টানা দুই বলে চার ও ছয় মেরে আবার হাঁকাতে গিয়ে ১৭তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নিয়েছেন তামিম। তাঁর নামের পাশে তখন ৭৪ রান। ফিফটি ছোঁয়ার পর ১৩ বলে ২৪ তোলা তামিমের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও চার ছক্কা। এর পর শহীদ আফ্রিদি তাঁর ফর্ম ধরে রেখে দ্বিতীয় বলেই বিদায় নিয়েছেন। পেরেরাও নিজের শুরুর মূর্তি ধরে রাখতে পারেননি বলে দুই শ ছোঁয়া হয়নি ঢাকার। প্রথম ৭ বলে ২৭ তোলা পেরেরা ১৭ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।