বিপিএলের শুরু থেকে বিদেশি তারকাদের দাপট। মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস ছাড়া আর কাউকেই জ্বলে উঠতে দেখা যাচ্ছিল না। আজ একদিনেই সে দুঃখ কেটে গেল অনেক। মেহেদী হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ঢাকাকে জয় এনে দিয়েছে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস ও কামরুল ইসলামের পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। খুলনা টাইগার্সের ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ২ ওভার আগেই ম্যাচ শেষ করেছে রাজশাহী।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খেয়েছে খুলনা। ইনিংসের শুরুতে ঝড় তোলার দায়িত্বে থাকা গুরবাজ প্রথম বলে চার মেরে দ্বিতীয় বলেই আউট। নাজমুল হোসেনের টানা ব্যর্থতায় শুরুতে সুযোগ মিলেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। মাত্র দুই বলে শূন্য হাতে ফিরেছেন মিরাজ। পঞ্চম ওভারেই আবার জোড়া ধাক্কা। কামরুল ইসলামের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন মুশফিকুর রহিম। পরের বলেই এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া নাজমুল হোসেন।
রাইলি রুশোর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধরন তাওই বদলাতে হলো। ইনিংস গড়তে নেমে অবশ্য টিকতে পারেননি রুশো (৩৫)। দেশি ব্যাটসম্যানদের মুখ উজ্জ্বল করে ৪৬ বলে ৫৫ রান করেছেন শামসুর রহমান। তাঁর সঙ্গে রবি ফ্রাইলিংকের ৩১ খুলনাকে ১৪৫ রান এনে দিয়েছে। ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন কামরুল। ৩৭ রানে ৪ উইকেট আন্দ্রে রাসেলের।
লক্ষ্যটা একদম ছোট বানিয়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লেতেই ৬০ রান এনে দিয়েছেন দুজন। উদ্বোধনী জুটির শেষটা অবশ্য দুর্ভাগ্যজনক। রান আউট হয়ে ফিরেছেন ১৮ বলে ২২ তোলা আফিফ। ৯ম ওভারে ৭৫ রানে থেমেছে আফিফ-লিটন জুটি। ৩৮ বলে পঞ্চাশ পেরোনো লিটন বিদায় নিয়েছেন দলকে ৯৪ রানে রেখে। ৪৪ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করা লিটন বিদায় নিতেই রান তোলার গতি কমেছে রাজশাহীর। ১৯ বলে ১৫ রানের এক ইনিংস খেলে শোয়েব মালিক বিদায় নেওয়ায় কিছুটা আশা জেগেছিল খুলনার। কিন্তু অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল (২৮) ও রবি বোপারা (১৩) ১৫ বলে ৩২ রান তুলে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন অনায়াসে।