নৈহাটিতে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ৪ জনের। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণের ব্যাপক আওয়াজে কেঁপে ওঠে দেবক এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় পর পর তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির দেবক গ্রামে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেলা ১২ নাগাদ বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এমনকী গঙ্গার ওপারেও শোনা যায় বিস্ফোরণের আওয়াজ। তার পরেই আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাজি কারখানায় কাজ করছিলেন বেশ কয়েক জন। তাঁদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় ব্য়ারাকপুর এবং নৈহাটির বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার (সদর) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন,‘‘ এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।”
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাজির পাশাপাশি ওই কারখানায় দেশি বোমা বানানো হত। পুলিশেরও সন্দেহ শক্তিশালী কোনও বিস্ফোরক মজুত ছিল ওই বাড়িতে।
বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় গঙ্গার ওপার থেকেও।
এক পুলিশ কর্তা বলেন,‘‘ আমাদের কাছে ওই বাজি কারখানা সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। বেআইনি ভাবে চলছিল ওই কারখানা। কারখানার মালিক কে এবং কতজন সেই সময়ে কারখানায় ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।” তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে নূর হোসেন নামে এক ব্যক্তির ওই কারখানা। সে ফেরার। এক বছর আগেও ওই এলাকায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয় এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনজন শ্রমিক। পুলিশের একাংশও অনুমান করছে যে ওই কারখানায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত করে রাখা ছিল।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের অভিযোগ, ওই এলাকায় ১০০-র বেশি এ রকম বেআইনি বাজি কারখানা চলছে শাসক দলের নেতাদের মদতে। তাঁর অভিযোগ, ওই বাজি কারখানা সামনে রেখেই চলছে বোমা তৈরি। তিনি গোটা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
Annodo Bazar pottrika