গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর পঞ্চগড়ে ঠাণ্ডা বাতাসে আবারো বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ ছাড়া কমে এসেছে দিনের তাপমাত্রাও। সোমবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখতে পারেনি এ এলাকার মানুষ। এ ছাড়া দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধানও মারাত্মকভাবে কমে এসেছে।
আজ সোমবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিলো দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সর্বনিম্ন অবস্থান।
সকাল থেকেই হিমালয়ের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে চলেছে। ঠাণ্ডা বাতাসে হাড় কাঁপা শীত অনুভূত হচ্ছে বলেই জানিয়েছে এ এলাকার মানুষ। এবার পৌষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দিনের বেলাতে এমন ঠাণ্ডা পঞ্চগড়ে অনুভূত হয়নি বলেও তারা জানান। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে সাথে হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। বিরামহীনভাবে বয়ে চলা ঠাণ্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। শহর থেকে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের প্রকোপ বাড়লেই দুর্ভোগ বাড়ে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের মানুষের। পঞ্চগড়ের চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা কষ্টে পড়ে যান। তারা কাজে বের হতে পারেন না।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, আকাশে মেঘ থাকার কারণে সূর্য দেখা যায়নি। এ ছাড়া ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আরো কমে আসার পাশাপাশি তীব্র কিংবা মাঝারি ধরণের শৈত্য প্রবাহ শুরু হবে।