চীনের বাজারগুলোয় নানা রকমের ইঁদুর, সাপ ও নেকড়ের ছানাসহ বিভিন্ন বিরল প্রাণী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। চীন সরকার বলেছে, সকল ব্যবসা, খাদ্য ও পানীয় বিক্রির দোকান ও ই-বাণিজ্যের প্ল্যাটফরমগুলোয় বন্যপ্রাণী বেচা-কেনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হছে।
এদিকে, করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা ক্যাম্পেইনাররা চীনের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা বন্যপ্রাণী বাণিজ্য স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে। জীবিত প্রাণী বিক্রি হয় যেসব বাজারে, সেসব বাজার থেকে মানবদেহে নতুন ধরনের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবানা বেশি থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উহান অঞ্চলের সেরকমই একটি বাজার থেকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস যেন আরো বেশি ছড়িয়ে না পড়তে পারে তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত ব্যবসা বন্ধ করেছে চীন, তবে সংরক্ষণবাদীরা মনে করেন এই পদক্ষেপ নেওয়া যথেষ্ট নয়। তাদের বক্তব্য, বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বাণিজ্য স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হলে তা মানুষের স্বাস্থ্যজনিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর অবৈধ চোরাকারবার বন্ধ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ক্যাম্পেইনাররা মনে করেন, ঐতিহ্যগতভাবে চীনা ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর দেহের অংশ ব্যবহার হওয়ায় এবং চীনাদের খাবার হিসেবে বিভিন্ন রকম বন্যপ্রাণীর চাহিদা থাকায় বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিয়ে বাণিজ্য বেড়ে চলেছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বন্যপ্রাণীর দেহের অংশ দিয়ে তৈরি করা পণ্যের বিষয়ে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা শুধু চীনে নয়, সারা বিশ্বে বাস্তবায়ন করা উচিত।