প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালগুলোতে ২৮ হাজার ৮৩২ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা ৭ হাজার ১৮টি। সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ ২১ হাজার ৮১৪ জন। সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদানের জন্য পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি আরো জানান, দেশের ৬৪টি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৭ হাজার ১৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে পদোন্নতি যোগ্য শূন্যপদ ৪ হাজার ১৬৬টি, সরাসরি নিয়োগের যোগ্য শূন্যপদ ২ হাজার ৮৫২টি। ২৫ শতাংশ বা সরাসরি নিয়োগের জন্য ৩৭তম বিসিএস হতে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ২৬ জন প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নির্ধারিত ফরমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকপদে পদোন্নতির বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ ও নন ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। তবে আদালতে মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ৬১টি জেলায় সহকারী শিক্ষকের ১৮ হাজার ১৪৭টি পদ পুরণের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। যথাশীঘ্রই এসব শিক্ষক যোগদান করবেন। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।