মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক নৌমন্ত্রী ও পরিবহনশ্রমিকনেতা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের করা মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত বিবাদী শাজাহান খানকে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্য আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি ইলিয়াস কাঞ্চনের আইনজীবী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, মামলার গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে আজ আদালতে শুনানি হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আদেশ দেন। আদালত শাজাহান খানকে লিখিত জবাব দিতে বলেছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। পরে আদালত আজ মামলার গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলার আরজিতে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। গড়ে তোলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামের একটি সংগঠন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন মহলের নানামুখী হুমকির সম্মুখীন হন তিনি।
মামলার আরজিতে ইলিয়াস কাঞ্চন দাবি করেন, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে জেলা মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের চালক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন সম্পর্কে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনি যে বিদেশিদের কাছ থেকে নিরাপদ সড়ক চাই এনজিওর নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন, আপনি কয়টা প্রতিষ্ঠান করেছেন? কয়টা স্কুল করেছেন? কতজন মানুষকে টেনে নিয়েছেন? ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশ্যে পান এবং সেখান থেকে নিজের নামে নেতৃত্ব, বধূর নামে লাখ লাখ টাকা নেন, সেই হিসাব আমি জনসমক্ষে তুলে ধরব।’ শাজাহান খানের এই বক্তব্য পরদিন দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রচারিত হয়।
মামলার আরজিতে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও দাবি করেন, তাঁকে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিবাদী শাজাহান খান তাঁর সম্পর্কে মনগড়া ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি আলটিমেটাম দেন ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও বিবাদী শাজাহান খান তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় গতকাল ওই মামলা করেন।