চার ছক্কার ফুলঝুরি বেড়েছে। ব্যাটসম্যানদের হাতে শট বেড়েছে। ভালো বলকেও সীমানাছাড়া করার দক্ষতা বেড়েছে। উল্টোদিকে বোলারদের বলে বৈচিত্র্য বেড়েছে। প্রথাগত বোলিংয়ের বাইরে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার নতুন নতুন উপায় বের করছেন বোলাররা। টি-টোয়েন্টি কত ভাবে ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছে, সেটির হিসেব শেষ হবে না।
এ তো গেল বোলিং, ব্যাটিংয়ের হিসেব। টি-টোয়েন্টির প্রভাব তো ফিল্ডিংয়েও পড়েছে। ঝাঁপিয়ে চার বাঁচিয়ে সেটিকে তিন বা দুই রান বানানো, দুই এর জায়গায় এক রান দেওয়া, বা সিঙ্গেলস রুখে দেওয়া—ফিল্ডিংও ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ায় এখন রাখছে বড় অবদান। খেলোয়াড়দের ফিটনেস বেড়েছে, বেড়েছে গায়ের জোর। গৌতম গম্ভীরের চোখেও এ দিকটিই পড়ছে বেশি। সাবেক বাঁ হাতি ভারতীয় ওপেনারের কথা, টি-টোয়েন্টি আসায় ক্রিকেটটা এখন আগের চেয়ে বেশি শরীর-নির্ভর।
‘এ সময়ের দলগুলোর দিকে যদি দেখেন, ওরা আগের দলগুলোর চেয়ে শারীরিকভাবে অনেক বেশি ফিট। কারণ আগে শারীরিক ফিটনেসের দিকে এতটা বেশি জোর দেওয়া হতো না। টি-টোয়েন্টি আসার পর থেকে ক্রিকেট আগের চেয়ে বেশি গায়ের জোর নির্ভর খেলা হয়ে গেছে’—সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতিতে নাম লেখানো গম্ভীর।
২০১৬ সালে ভারতের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা গম্ভীর নিজেও টি-টোয়েন্টির স্বাদ পেয়েছেন অনেক। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তো আর টি-টোয়েন্টি ছিল না। সে সময়ের প্রসঙ্গ টেনে গম্ভীরের কথা, ‘যখন আমি ক্রিকেট খেলতে শুরু করি, তখন টি-টোয়েন্টি বলে কিছু ছিল না। তখন খেলাটা এতটা শরীর-নির্ভর ছিল না, বরং টেকনিক্যাল ছিল বেশি। কিন্তু এখন আপনি শারীরিকভাবে ফিট না হলে কোনো সংস্করণেই আর ভালো করতে পারবেন না।’
অনুষ্ঠানে মেয়েদের আরও খেলাধুলায় আসার ব্যাপারেও উৎসাহিত করেছেন গম্ভীর, ‘মেয়েরা খেলাধুলায় উৎসাহিত হলে সেটা একটা ক্রীড়ামোদী দেশ গড়ার লক্ষ্যে অনেক বড় পদক্ষেপ হবে। আমি তো চাইব মেয়েরাও ছেলেদের মতোই ক্রিকেটটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিক। ক্রিকেটে আমাদের এখনকার মেয়েদের দলের দিকে তাকান, ওরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে, এর আগে রানার্সআপ হয়েছে। এটা দেশের জন্য খুবই ভালো একটা লক্ষণ।’