ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘন্টায় ডিবি পুলিশ
পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮০ পিচ ইয়াবা সহ ৬জনকে গ্রেফতার
করেছে। অন্যদিকে রাজাপুর থানা পুলিশ রাজাপুর ডিগ্রী কলেজ
মাঠে রাত ৮ টার অভিযান চালিয়ে ৬০ পিচ ইয়াবাসহ সুজন
নামের এক যুবক আটক করেছে। এসব অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব ও এএসপি সার্কেল এমএম মাহমুদ
হাসান নেতৃত্ব দেন। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার সুভাস চন্দ্র সাহার
কঠোর নির্দেশে মাদক ব্যবসা বন্ধ ও মাদক নির্মূলে চলমান
কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এসব অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জানাগেছে, রাজাপুর
উপজেলা সদরে ডিগ্রী কলেজের মাঠে ইয়াবা ব্যবসার গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আবুল কালাম অভিযান চালায়। এসময়
মাঠের মধ্যে সন্দেহ জনক ঘোরাফেরা কালে মাদক ব্যবসায়ী সুজন
(৩০) কে আটক করে দেহ তল্লাশী করলে তার কাছ থেকে ৬০ পিচ
ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রাতেই এএসপি সার্কেল এমএম মাহমুদ
হাসানের নির্দেশে থানা পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতের বিরুদ্ধে
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা রুজু করেছে। অপরদিকে
ঝালকাঠি ডিবির এসআই ইউনুচ ও শামীমের নেতৃত্বে সদর
উপজেলার বিনয়কাঠির সুগন্ধিয়া ব্রীজ এলাকা থেকে কামরুল
বাসার মৃধা ৩৫ নামের এক যুবক ও তার সাথে মটরসাইকেল চালক
হাসান কে গ্রেফতার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ
অভিযানকালে কামরুল মৃধার দেহ তল্লাশী চালিয়ে ৫ পিচ ইয়াবা
উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশের কাছে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি
অনুযায়ী রাতেই ইয়াবা চক্রের সদস্য উদজ্জরা গ্রামের ওয়াহেদ মৃধা
ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইমরান নামে আরো দু’সদস্যকে গ্রেপ্তার
করা হয়। অন্যদিকে রাজাপুর বাইপাসমোড় এলাকার আনসার মীরের
পুত্র খায়রুল মীর ও মটোরসাইকেল চালক রাজাপুরের তুলাতলা এলাকার
খলিফা বাড়ীর আজিজ খলিফার পুত্র লিটন খলিফা নামে দুই মাদক
ব্যবসায়ীকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠি শহরের
পেট্রলপাম্প মোড় এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে। এসময়
তাদের দেহতল্লাশী করে ৭৫ পিচ ইয়াবা সহ ইয়ারা বিক্রির ২৪ হাজার
টাকা সহ গ্রেপ্তার করে। এসময় অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিবের নির্দেশে তাদের
বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি
মামলা দায়ের করে। আটককৃত সকল আসামীকে আদালতে সোপর্দ
করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডাবেদন জানানো হবে বলে এএসপি
সার্কেল এমএম মাহমুদ হাসান জানান।