তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার দুঃখী মানুষের বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশের সব মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন। ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিল। ইতিহাসকে হত্যা করা হয়েছিল, মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগকে নিয়ে অপপ্রচার করা হতো। নৌকায় ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, মসজিদে আজান হবে না, দেশ ভারত হবে- এসব অপপ্রচার করা হতো। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাঁটি মুসলমান ছিলেন। তিনি ইজতেমায় জমি দান করেছিলেন। কওমি মাদরাসা বোর্ড গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর মুখেও আপস করেননি। সাহসিকতা, সততা এবং আদর্শের কাছে সারা বিশ্ব স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল, তিনি বঙ্গবন্ধু। শোকাবহ আগস্ট মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার দুপুরে সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বারবার যারা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তারা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। ষড়যন্ত্রের কাছে আমরা মাথা নত করব না, করিনি। বিগত দিনে সিংড়ায় উন্নয়ন হয়নি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। বিগত ১২ বছরে আমরা সিংড়া উপজেলার অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, আজ যেখানে প্রগ্রাম হচ্ছে রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ, অত্র এলাকায় শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সুকাশের বামিহাল মাদরাসা, কাকিয়ান মাদরাসা, নিশ্চিন্তপুর, দুর্গাপুর স্কুল, কালভার্ট, সেতুসহ সব উন্নয়ন বর্তমান সরকারের।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট সরকারের সময় সুকাশে ভয়াবহ অবস্থা ছিল। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। দিনদুপুরে ডাকাতি হয়েছে। অন্যায় প্রতিবাদ করার সাহস মানুষের ছিল না। মানুষ বিচার পেত না। রক্ত নিয়ে মানুষের হোলিখেলা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, হামলা, মামলা, খুন হত্যা করে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। বামিহালে ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের সময় পুলিশ ফাঁড়ি লুট করা হয়েছিল। আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। সে দুঃসময় এখন আর নাই। বর্তমান সরকার মানুষকে উন্নয়ন ও সুশাসন উপহার দিয়েছিল। ৩৭ বছর সিংড়া উপজেলা ছিল বিএনপির ঘাঁটি। এখন নৌকার ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।
সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমতের পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক ও ইটালী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক ও তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, সুকাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা, কলম ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু, চামারী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা হক রোজিসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতারা। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল বারী রশিদী।