সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে কতটির লাইসেন্স আছে ও কতটির লাইসেন্স নেই তার তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কতগুলো হাসপাতাল কভিড ও নন-কভিড হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম ঘটলে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষ কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবে কিনা তারও তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
রিট আবেদনে যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টক সেন্টারে করোনার পরীক্ষা করা হয় তার তালিকা প্রকাশ, চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সারাদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম ও সংখ্যা প্রকাশ, যেসব হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেসব হাসপাতাল মনিটরিংয়ে প্রত্যেক থানায় একটি করে কমিটি গঠন, রিজেন্ট থেকে ভুয়া করোনার সনদ দেওয়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রকাশ, রিজেন্টের প্রতারণার শিকার প্রত্যেক রোগী থেকে নেওয়া ফি ক্ষতিপূরণসহ (২৫ হাজার টাকা করে) ফেরত প্রদান, করোনার সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি সপ্তাহে তাদের সেবা নিয়ে পরিপূর্ণ একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সেজন্য একটি নীতিমালা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে গত ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা (উত্তরা ও মিরপুর) বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ১৯ জুলাই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়।