জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ৪৫ তম অধিবেশন চলাকালীন জেনেভায় সংস্থার সদর দপ্তরের সামনে চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ‘উইঘুর গণহত্যা বন্ধ করুন, জবরদস্তি শ্রম বন্ধ করুন’ শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিন দিনব্যাপী এই প্রতিবাদী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস (ডাব্লুইউসি)। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ উইঘুরদের ছবি প্রদর্শন করা হয়।
ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের সভাপতি ডলকুন ঈসা বলেন, ‘আজ আমরা জবরদস্তি শ্রমের বিরুদ্ধে এবং উইঘুর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করছি। এখানে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৫ তম অধিবেশন চলছে সুতরাং আমরা এই সুযোগটি উইঘুর গণহত্যা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ ও সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহার করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ একুশ শতকে এসেও আমরা চীন সরকারের বর্বরতা দেখছি। সেখানে বন্দি শিবিরে ৩০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রাখা হয়েছে। তাঁদের জবরদস্তি শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে। চীন সরকার যেহেতু উইঘুর মুসলমানদের জোরপূর্বক শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করছে তাই আমরা বিশ্বকে চীনের সাথে ব্যবসা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা উইঘুর গণহত্যা বন্ধ করার জন্য চীন সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এটি একবিংশ শতাব্দীর জন্য লজ্জাজনক এবং নীরবতাও একটি অপরাধ। সুতরাং আমরা সমগ্র বিশ্ব এবং সমগ্র মানব সম্প্রদায়কে উইঘুরদের অধিকার রক্ষায় দাঁড়াতে বলি। আপনারা আমাদের সমর্থন দিন।’
সম্প্রতি, উইঘুর মুসলিমদের জবরদস্তি শ্রমে ব্যবহার এবং চীনা সরকার কর্তৃক উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করার নতুন একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। যেটা এই সংকটে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এই পদক্ষেপগুলো জাতিসংঘের কনভেনশন-এর অনুচ্ছেদ ২ এর অধীনে ‘গণহত্যার’ সংজ্ঞায়নের অধীনে এসেছে। জাতিসংঘ কনভেনশনে বলা হয়েছে, কোনো একটি গোষ্ঠী নির্মূল করার উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক জন্ম রোধ ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া গণহত্যার শামিল।