গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। কাশিয়ানী, মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ও গোপালগঞ্জ সদর থানার গোপিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শুক্রবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় রাস্তার খাদে দাঁড়িয়ে থাকা ভাই-বোন তাসফিয়া খানম (৩) ও ভাই রাব্বি সিকদারকে (৬) চাপা দেয়। এতে তাসফিয়া খানম ঘটনাস্থলেই নিহত ও তার ভাই রাব্বি মারত্মক আহত হয়। তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিকআপটি ঢাকা থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন গোপিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর পরিদর্শক মো. আবু নাঈম।
এদিকে কাশিয়ানী থানার পরিদর্শক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে শাহিন মোল্লা (৩০) নামে এক প্রাইভেটকার চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধূসর ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মোল্লা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আতালিয়া গ্রামের আয়ূব আলী মোল্লার ছেলে। আহত নন্দন দত্ত (২২) ও কার্ত্তিক মন্ডলকে (২৪) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে মাইক্রোবাস চাপায় খুশি বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত খুশি বেগমের বাড়ি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া জানিয়েছেন, রাতে মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন খুশি বেগম। এ সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দিলে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।