মোঃ আশিকুর রহমান(টুটুল),নাটোর প্রতিনিধি.
নাটোরের লালপুর উপজেলাধীন ওয়ালিয়া,কদিমছিলান,নান্দ,রায়াপুরসহ প্রতিটি অঞ্চলে
প্রচুর পরিমানে পাটের চাষ করেছে কৃষক গণ। স্থানীয় সূত্রে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া
অনুকুল থাকায় এবং অনান্য আবাদের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম ও বেশি মুনাফা লাভ করা যায়
এবং উৎপাদিত ফসল সহজে বাজার জাতকর ও জ্বালানি চাহিদা সহ বিভিন্ন দিকে
সুবিধা থাকাই লালপুর থানার কৃষকগণ পাটজাত শস্য ব্যাপক হারে চাষ করেছে। স্থানীয়
কৃষক সূত্রে, ওয়ালিয়ার পাটচাষী আকছেদ আলী,মতিউর রহমান,শাজাহান আলী জানান,
পাটচাষ ইতি পূর্বে আমাদের এই অঞ্চলে খুব স্বল্প মাত্রায় হয়েছে। এ বছর কৃষি অফিসের
ব্যাপক সাড়া পাওয়ার কারনে এবং এই শস্য চাষে কম অর্থ বিনিয়োগ করে বেশি মুনফা
আয় করা সম্ভব এবং এই ফসল চাষের ক্ষেত্রে তেমন রোগ ও পোকা মাকরের আক্রমন দেখা যায়
না । পাট চাষে প্রতি এক বিঘা জমিতে রোপন থেকে শুরু করে পাট ঘরে তোলা পর্যন্ত
৩৫০০-৪০০০ টাকা খরচ হয় এবং এক বিঘা জমিতে ৮-৯ মন পাট পাওয়া যায় । এছাড়াও
সকল প্রকার জমিতেই চাষ করা যায় বলে এই অঞ্চলের কৃষক গণ প্রচুর পরিমানে পাটের চাষ
করেছে । এবছর পাট চাষের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জমিতে বিছা পোকা ও লেদা পোকার
আক্রমন দেখা দিলেও কৃষি উপ-সহকারীদের সঠিক পরামর্শ ও নিয়মিত পর্যাবেক্ষনের
মাধ্যমে তা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো জানান, সরকারী পৃষ্টাপষোকত ও
পাটের নায্য মূল্য পেলে আগামিতে এই অঞ্চলের কৃষক গন আরো বেশি পরিমানে পাটের
চাষ করবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম
খান জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুল ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং পাটচাষের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন প্রকার সুবিধা সম্পর্কে কৃষকদের কে উদ্বুদ্ধ করায় এই অঞ্চলের কৃষক গন এই
বছর ব্যাপক হারে পাট চাষ করেছে যা এই অঞ্চলের পাটের চাহিদা পুরোণ করে বাহিরে
রপ্তানি যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে । চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে পাট চাষের লক্ষ মাত্রা ৩০০
হেক্টর ধরা হলেও এবছর আবহাওয়া অনুকুল থাকাই এই অঞ্চলের কৃষক গন প্রায় ৪২০০ হেক্টর
জমিতে পাট চাষ করেছে যা এই অঞ্চলে রেকর্ড পরিমান ।