বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, যথেষ্ট ব্যয়াম না করার জন্য নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারি কোনো অজুহাত হতে পারে না। মহামারি থাকুক বা নাই থাকুক, মানুষকে অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, মহামারির আগেও অনেকেরই শারীরিক কর্মকাণ্ড খুব কম ছিল।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএইচও আরো বলেছে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে ব্যায়াম জরুরি। এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ।
ডব্লিউএইচওর স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের প্রধান রুডিগার ক্রেচ সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে সক্রিয় থাকতে ডব্লিউএইচও সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
রুডিগার ক্রেচ বলেন, ‘আমরা সক্রিয় না থেকে অসুস্থতার আরেক মহামারি তৈরি করে ফেলতে পারি।’
করোনাজনিত মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে লকডাউন, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণসহ ব্যায়ামাগারগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষকে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং তাদের নিত্যদিনের জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। তবে শরীরিক কর্মকাণ্ডের ওপর এর প্রভাব নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার জন্যে শারীরিক কর্মকাণ্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি জীবনের সঙ্গে বছরের পর বছর এবং বছরের সঙ্গে জীবনকে যুক্ত করতে সহায়ক হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম হার্ট ডিজিজ, টাইপ টু ডায়াবেটিস ও ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এ ছাড়া ব্যয়াম অবসাদ, উদ্বেগ কমায় এবং মস্তিস্ককে উজ্জীবিত রাখে।