মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাঙালির অবিনাশী চেতনার মূর্ত প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।’
সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) সম্মেলন কক্ষে আজ শুক্রবার বিএলআরআইয়ের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের অপচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশের স্বাধীন সত্তা নিয়ে বিতর্ক করছে। কারণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। এই বিষয় নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টিকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে এ দেশের স্বাধীনতাকামী কোটি কোটি মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। আইনও তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.আবদুল জব্বার শিকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিএলআরআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজহারুল আমিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও মো.তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো.আব্দুর রহিম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং বিএলআরআইয়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ দেশে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে প্রত্যেকের মত ও বিশ্বাস প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এ দেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। এ দেশে যার যার ধর্ম সে পালন করবে। যার যার বিশ্বাস সে মেনে চলবে। এ বিশ্বাসে কাউকে জোর করে অন্য ধারণা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে, অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতে হবে। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।’
দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় খাতের একটি প্রাণিসম্পদ উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ খাতে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন ধারণা তৈরি হচ্ছে এবং সেটাকে আমরা কাজে লাগাচ্ছি। গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন জাত সৃষ্টি করতে পারছি। এর মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটানো যাবে, বেকারত্ব দূর করা যাবে। খাদ্যের একটা বড় অংশ আসে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করা, উদ্যোক্তা তৈরি ও বেকারত্ব দূর করার বড় একটি ক্ষেত্রও এই প্রাণিসম্পদ। এই খাতের বহুমুখী প্রয়োজন ও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।’
বিএলআরআইয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মেধাবী গবেষকরা গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়ে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিএলআরআইয়ের নতুন নতুন গবেষণা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করছে। এই গবেষণা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে। প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’