আমনের ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে সব ধরনের চালের দামই। বেড়েছে ভোজ্য তেলের দামও। ১৫ দিনে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১০ টাকা। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।
শীতকাল মানেই বাহারি সবজির পসরা, কম দামে পছন্দের সবজি কেনার সুযোগ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে গেল সপ্তার তুলনায় কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে সবজি স্বস্তি দিলেও ক্রেতাদের ভোগাচ্ছে চাল ও ভোজ্য তেল। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল। মোটা চাল থেকে শুরু করে বেড়েছে চিকন ও পোলাউয়ের চালের দাম।
আজ শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের তিনজন ক্রেতা এ চালের দাম কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা বেড়েছে। তারা বলছিলেন, গত কয়েকদিনের মধ্যেই এটা বেড়েছে। অন্যদিকে তেলের দাম বাড়ার কথাও জানালেন ক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ’১৫-২০ দিন আগে আমরা তেল বিক্রি করছি ১০০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি করছি ১১০ টাকা কেজিতে। আগে সুগার তেল বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি করছি ১০০ টাকা কেজি দরে।’
এদিকে চালের বাজারে মিনিকেট ৫৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইলের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। কেজিতে এক-দুই টাকা বেড়েছে মোটা চালের দামও। বিক্রেতারা বলছেন, চালের সরবরাহ কম থাকা বাড়তি দামের কারণ। এজন্য আড়তদার ও মিলারদের দায়ী করলেন তাঁরা।
কারওয়ান বাজারের ষাটোর্ধ্ব এক চাল ব্যবসায়ী বলছিলেন, ‘মিলাররা চালের দাম বাড়ালে আড়াতদাররাও দাম বাড়ায়। তখন আমাদের কিনতে হয় বেশি দাম দিয়ে।‘
‘২৮ চাল যেটা এই সময়ে উঠে সেটাই এখন আমাদের কিনতে হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকায়। আমরা ৪৮-৪৯ টাকায় বিক্রি করছি’, বলেন আরেকজন বিক্রেতা।
প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে মন্তব্য করে মধ্যবয়সী পাইকারি এক চাল বিক্রেতা বললেন, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
তেল ও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও উঠানামা নেই পেঁয়াজ ও আলুর বাজারে। তবে কমে এসেছে নতুন আলুর দাম।