ভয়ঙ্কর, নারকীয় ঘটনা ঘটেছে ভারতের উড়িষ্যার নয়নগড় জেলায়। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ১৮ বছরের এক যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের বাড়িতে ফল আনতে গিয়েছিল ছোট্ট ওই মেয়েটি। সে সময় বাড়িতে একাই ছিল ওই যুবক। মা ও তার বোন গিয়েছিলেন কাজে।
এই সময় মেয়েটিকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবক। কিন্তু তাতে বাধা দেয় শিশুটি। ক্ষিপ্ত হয়ে যুবককে আঁচড়ে ও কামড়েও দেয় ওই শিশু
সে সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে শিশুটিকে মেরে ফেলে অভিযুক্ত। কিন্তু এতেও মেটে না তার মনোবাসনা। মৃতদেহকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। তাতেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু হাল ছাড়ে না সে। শেষপর্যন্ত মেয়েটির ফ্রকের মধ্যে নিজের ইচ্ছাপূরণ করে।
এরপর মেয়েটির মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পুকুরের ধারের ঝোপে রেখে আসে। নারিকেলের ডালপালা দিয়ে বস্তাটি ঢেকে দেয়। কিন্তু ঘরে এসে দেখে শিশুটির লেগিংস তার ঘরেই পড়ে রয়েছে। পরে সেটি পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয় সে।
গত কয়েকদিন ধরে এই নাক্ক্যারজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সেখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। স্থানীয় সরকারের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে ইতোমধ্যেই গলার স্বর চড়াতে শুরু করেছে ভারতের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপি। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।