গোলাপি বলে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল বোলার প্যাট কামিন্স। পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। অথচ কামিন্স জানালেন, গোলাপি বল নয় বরং টেস্টে লাল বলে খেলতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। অসি তারকার মতে, লাল বলেই টেস্ট ক্রিকেটের আসল লড়াই দেখা যায়।
ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে একমাত্র দিবারাত্রির টেস্টে দারুণ সফল ছিলেন কামিন্স। ওই ম্যাচের দুই ইনিংসে সাত উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওই ম্যাচে অসি বোলারদের দাপটে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। আট উইকেটের বিশাল জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
এমন সফলতার পরও কামিন্সের কাছে প্রিয় লাল বলের টেস্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কামিন্স বলেন, ‘লাল বলে টেস্ট খেলাই আমার বেশি পছন্দ। এমনিতেই গোলাপি বলে টেস্ট একটা আলাদা উত্তেজনা তৈরি করে ঠিকই। বছরে একবার-দুইবার গোলাপি বলের টেস্ট খেলা যায়। কিন্তু লাল বলের রোমাঞ্চই আলাদা। ব্যাট এবং বলের আসল লড়াই দেখা যায় সেখানেই।’
অসি তারকা আরো বলেন, ‘আমরা দারুণ কিছু টেস্ট ম্যাচের সাক্ষী থেকেছি গোলাপি বলে। অ্যাডিলেডে আমাদের যে পিচ দেওয়া হয়েছিল তা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও লাল বল আমার কাছে বেশি পছন্দের।’
অ্যাডিলেড জয়ের পর মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে আট উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। ওই ম্যাচে নাথান লায়নকে নিয়ে আশাবাদী কামিন্স, ‘সিডনিতে আমাদের রেকর্ড ভালো। পিচের দিক থেকে সেটা অনেকটা এমসিজির মতোই। শুকনো এবং স্লো। তাই লায়ন সেখান থেকে ঘূর্ণি পেতে পারে। তাছাড়া সিডনি আমার কাছে ঘরের মাঠ। সেখানে খেলার মজাই আলাদা।’
এদিকে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। চোট কাটিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দলে ফিরেছেন তারকা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার ছাড়াও স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন আরো দুজন। অফ ফর্মে থাকা ওপেনার জো বার্নসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে তরুণ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান উইল পুকোভস্কি। এ ছাড়া ফিরেছেন পেসার শন অ্যাবট। এই তিনজন ছাড়া দলে আর কোনো পরিবর্তন নেই।
চার ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে অ্যাডিলেডে ভারতকে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বক্সিং ডে টেস্টে জিতে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ভারত। আগামী ৭ জানুয়ারি শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। এরপর ১৫ জানুয়ারি থেকে হবে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটি।