বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে একটি সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে বলে খবর দিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম। খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ২০০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে দেশটির পুলিশ। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। করিমগঞ্জের বিপরীত দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সিলেটের জকিগঞ্জ।
এ খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলেছে, তারা এ ধরনের কোনো সুড়ঙ্গের খোঁজ পায়নি।
বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘খবরটি জানার পর আমরা খোঁজ নিয়েছি। কোনো ধরনের সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান আমরা পাইনি।’ তিনি আরো জানান, জকিগঞ্জ এলাকায় দুটি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। এটিকে স্থানীয় লোকজন সুড়ঙ্গপথ বলে থাকে। কিন্তু মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ পথের কোনো সন্ধান তারা পায়নি।
ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যম বলছে, করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে এলাকাটি। এই গোপন সুড়ঙ্গপথে যাতায়াত ছিল দুই দেশের সীমান্তের আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি আর দুষ্কৃতকারীদের। সীমান্তের চোরাচালান, মানবপাচারের বিচরণক্ষেত্র ছিল এটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও বিবিসি বাংলার খবর অনুযায়ী, গত রবিবার আসামের করিমগঞ্জে একটি গ্রামের একজন বাসিন্দাকে অপহরণ করা হয়। পরে তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। যে নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল সেটা বাংলাদেশের নম্বর ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এরপর গত বুধবার অভিযোগ পাওয়ার পর করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ তদন্তে নেমে এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই সুড়ঙ্গটির খোঁজ পায় তারা। একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা।
খবর অনুযায়ী, একেবারে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থান ওই সুড়ঙ্গপথের। একটু দূরেই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া।
ভারতীয় পুলিশ আরো বলছে, সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তারা দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে জানিয়েছে। তারা এসে সুড়ঙ্গপথের ভারতীয় অংশের মুখ বন্ধ করে দেয়।
সুত্র ।কা/ক