হেলাল শেখঃ-ঢাকা
প্রতিনিয়ত টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসছে বিশাল ইয়াবার চালান! দেশে মাদকসেবীর
সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ অর্থাৎ ২৫ লাখের মতো মানুষ
ক্রেজি ড্রাগ ইয়াবায় আসক্ত। একজন মাদকসেবী যদি দিনে সর্বনি¤œ ২ টি করে
ইয়াবা সেবন করেন, তাহলে ২৫লাখ মাদকাসক্ত প্রতিদিন সাবাড় করছে প্রায় ৫০ লাখ
পিস ইয়াবা, আর বিভিন্ন দামের এই ইয়াবার পেছনে খরচ করছেন তারা প্রায় পৌনে
দুইশ’ কোটি টাকা।
স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
এই মরণ নেশা ইয়াবার একদিনের চাহিদা এমন আশঙ্কাজনক, তথ্য খোদ মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, সর্বনি¤œ ব্যবহারের হিসাবে এই
বিপুল পরিমান ইয়াবার চাহিদার তথ্য পাওয়া গেলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়বে।
ইয়াবা সেবীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই মরণ নেশার মাদকদ্রব্য ইয়াবা
প্রতিদিনই আসছে অবৈধ পথে পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে। দেশের এক প্রান্ত
টেকনাফের স্থল ও সাগর পথের প্রায় ১১টি পয়েন্ট দিয়ে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টাই ঢুকছে
ইয়াবার চালান। আর এই ইয়াবা বিভিন্ন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রতিটি
এলাকাসহ তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের গ্রামেগঞ্জে এখন ইয়াবার ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে।
ইয়াবার সর্বনাশা থাবায় লাখো পরিবারের সন্তানদের জীবন এখন বিপন্ন। প্রজন্ম
থেকে প্রজন্ম ধ্বংস করে মাদক ব্যবসার এই সিন্ডিকেট, হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত
কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইয়াবার প্রবেশ রোধে আইন শৃঙখলা বাহিনী
অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি তৎপর। তবে শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমান ইয়াবা
উদ্ধার করা হযেছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড
সুত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল পর্যন্তই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৯৫ লাখ পিছ ইয়াবা। ২০১৫-
১৬ সালে আরও বেশি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তথ্য মতে, বর্তমানে
ঢাকায় ইয়াবা আসে কেজি কেজি প্যাকেট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান
চালিয়ে আটক করা হয় এই ইয়াবার চালান। বহনকারীরা আটক হলেও মূলত বড়
ব্যবসায়ীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই মাদকের টাকা জোগার করতে চুরি,
ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে মাদক
সেবনকারীরা।
বিভিন্ন মাদকের ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে চলবে- পর্ব ১।