যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বা স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই দেশটির রাজধানী লন্ডন থেকে সিলেট এসেছেন আরো ৪৮ যাত্রী। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। তবে এবার সিলেটে এসেই বাড়ি যেতে পারেননি যাত্রীরা। তাঁদের ১৪ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
সিলেটে পৌঁছানোর পরই যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে বিআরটিসির তিনটি বাসে করে তাঁদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নগরের দুটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন যাত্রীরা।
এদিকে, দেশে এসেও বাড়ি যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় সিলেটের যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনেকেই দেশে ফেরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে বিমানের টিকেট কিনেও শেষ মূহূর্তে তা বাতিল করেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীরা যাতে হোটেলের বাইরে না আসেন এবং হোটেলে যাতে তাঁদের স্বজনরা প্রবেশ না করেন, তা তদারকি করতে হোটেলগুলোর সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার মো. হাফিজ আহমদ জানান, ফ্লাইটে ৪৭ জন যাত্রী এসেছেন। এর বাইরে এক শিশু রয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে তাঁদের হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ঝুঁকি কমাতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা যাত্রীদের নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার। গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইট আসে। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২ জন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২ জন ও ৩১ ডিসেম্বর ২৩৭ যাত্রী নিয়ে বিমানের তিনটি ফ্লাইট এই বিমানবন্দরে আসে। এই তিন দিনে আসাদের মধ্যে যথাক্রমে ১৬৫, ১৪৪ ও ২০২ জন ছিলেন সিলেটের যাত্রী।