নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া (২৮) এবং তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের (৩৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
এদিকে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আসামি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের এ মামলায় দোষী কিংবা নির্দোষ এমন প্রশ্ন করলে, তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই পাপিয়ার নরসিংদীর বাসায় এবং গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, মাদক আইনে একটি ও বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। এ মামলার পরে গত বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন।