নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ট্যাংকারের ধাক্কায় এম এল ছাবিত আল হাসান নামে মুন্সীগঞ্জমুখী একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শীতলক্ষ্যা নদীর চরসৈয়দপুর এলাকার ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা স্থলে যাওয়া সহকারী উপপরির্দশক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় ৬টার দিকে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। সৈয়দপুর কয়লাঘাট চায়না ব্রিজের সামনে গেলে একটি ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ছাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, লঞ্চটি ৬টার কিছু সময় পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায়। পথে ঝড়ের কবলে পড়লে এটি দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশ সুপার মীনা মাহমুদা জানান, একটি লঞ্চ ডুবেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। দুর্ঘটনাটি শীতলক্ষ্যা নদীর চায়না ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ঘটেছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি ও তড়িত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আজ বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ছাবিত আল হাসান প্রায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট সংলগ্ন নদীতে এসকে ৩ কোস্টার জাহাজের আঘাতে ৬টা ১০ মিনেটে ডুবে যায়। বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তা ছাড়া, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামকে (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক) প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকসহ ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।