লকডাউন চলাকালে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল পরিবহনে চার জোড়া ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রেলভবনে লকডাউন ও করোনাকালীন পণ্যবাহী-পার্সেল ট্রেন পরিচালনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট, সিলেট-ঢাকা, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী, সরিষাবাড়ী-চট্টগ্রাম, খুলনা-চিলহাটি, চিলহাটি-খুলনা, পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা, ঢাকা-পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রুটে প্রতিদিন পণ্যবাহী পার্সেল ট্রেন চলবে। আগামী বুধবার থেকে চলাচল করবে এসব পার্সেল ট্রেন।
প্রাথমিকভাবে লকডাউনের জন্য এগুলো চালু করা হয়েছে। সাড়া পেলে পরবর্তীতে এ ট্রেন চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সরিষাবাড়ী ও চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে পরিবাহিত পার্সেল মালামাল ভৈরববাজার ও আখাউড়া স্টেশন লাগেজ ভ্যান সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে গন্তব্যে পাঠানো হবে। আর খুলনা-ঢাকা রুটের মালামাল পরিবাহিত লাগেজ ভ্যান ঈশ্বরদী স্টেশনে বিয়োজন হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, ‘এ ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।’
রুটভিত্তিক ভাড়া প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট রুটের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৪৬ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি ১ টাকা ১৭ পয়সা, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী ৪৬৯ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৩৫ পয়সা, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ৩৯০ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৩০ পয়সা, খুলনা-চিলাহাটি রুটে ৪৯০ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৩৬ পয়সা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল-ঢাকা রুটে ৫৯৩ কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রেল সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী প্রমুখ উপস্থতি ছিলেন।