ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ১০ লাখ টনের বেশি ‘পরিশোধিত পানি’ সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। আজ মঙ্গলবার জাপান সরকারের বরাত দিয়ে খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উদ্বেগ এবং স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।
জাপান সরকারের দাবি, পারমাণবিক কেন্দ্রের ওইসব পানি সাগরে ফেলাটা নিরাপদ। কারণ, এই পানি পরিশোধন করা। সব ধরনের ক্ষতিকর উপাদান সরিয়ে ফেলার পরেই পানি সাগরে ফেলা হবে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জাপানের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। তারা বলছে, বিশ্বের অন্য দেশে পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্যজল নিষ্কাশনের মতোই এটি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ মার্চ এক মহাপ্রলয় শুরু হয়েছিল জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে৷ প্রথমে প্রচণ্ড ভূমিকম্প৷ রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের কারণে শুরু হয় সুনামি ৷
তাতে মারাত্মক ক্ষতি হয় ফুকুশিমার পারমাণবিক কেন্দ্রটির৷ পারমাণবিক চুল্লি ছিদ্র হয়ে চারপাশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে সে সময় ৷
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস এর আগে বলেছে, ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূষিত পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে এবং তাতে মানব ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা অনেক বেশি। দূষিত পানিতে রয়েছে কার্বন এবং নানা রকম তেজস্ক্রিয় উপাদান।