শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে ট্রলারডুবির ঘটনায় খাদিজা আক্তার নামের আড়াই বছর বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে জাজিরার বাবুরচর এলাকার পদ্মা নদীর চর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেন নৌ–পুলিশের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মা নদীর পৈলান মোল্লাকান্দি এলাকায় ১৬ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আবদুর রহমান আকন (৭০) নামের এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়।
খাদিজা আক্তার বরগুনার পাতাকাটা গ্রামের বজলু মিয়ার মেয়ে। সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাতেই উপজেলা প্রশাসন তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।
ওই ট্রলার দুর্ঘটনায় ইমাম হোসেন (২৫) ও রমজান আলী (৬) এখনো নিখোঁজ। তাঁদের সন্ধানে নৌ–পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
জাজিরার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, মাছ শিকারের ট্রলারে করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ট্রলারটি যাত্রী পারাপার করছিল। ওই ট্রলারের মালিক ও চালককে চিহ্নিত করা যায়নি। আর নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে কাজ করছে প্রশাসন।
জাজিরা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে সব ধরনের নৌযান বন্ধ ছিল। এ কারণে বৃহস্পতিবার কয়েকজন ব্যক্তি জাজিরার পালেরচর এলাকা থেকে মাছ শিকারের ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে ১৬ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি পালেরচর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে পদ্মা নদীর প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন ১২ ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেন।
এর আগে ৪ মে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোটের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ২৬ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এরপর ওই নৌপথ এবং মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার বন্ধ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।