আরেকটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করতে সে সময়ের কুশীলবরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আরেকটা ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করতে এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তবে সেই দিন আর আসবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ওয়ান ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছে, তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। ওয়ান ইলেভেন ছিল রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালাস্বরূপ। সেখান থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন একটি দুষ্ট ক্ষত। এ ক্ষত তৈরি হয়েছে বিএনপির হঠকারী ও ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। ইয়াজউদ্দীন একদিকে রাষ্ট্রপতি অপরদিকে তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। এর পরই আসে ওয়ান ইলেভেন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সে সময় দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনও সফল হতে দেবে না।
এ ছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস। আর তাঁর কারামুক্তি দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি মানে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো নয়। জনগণের জন্য নির্মোহ রাজনীতি করলে জনগণই পুরস্কৃত করে। তার উজ্জ্বল উদাহরণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আকাশচুম্বী সমর্থন। যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনে ব্যস্ত ছিল, জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে দূরে সরাতে অতীতেও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। তিনি বলেন, করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল জনগণের পাশে নেই। বিএনপি ঘরে বসে বিষোদগার করে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, শতভাগ মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।