আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গানের চ্যাম্পিয়ন শারমিন আকতার গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারমিনের আকস্মিক অসুস্থতায় সঙ্গীতাঙ্গন চিন্তিত হয়ে পড়েছিল।
থাইরয়েডের সমস্যা থেকে শারমিনের শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিলতা। ক্রমেই তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হতে থাকে। এক সময় তার রক্ত সঞ্চালনেও জটিলতা দেখা দেয়।
২ নভেম্বর জ্বরে আক্রান্ত হলে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ৬ নভেম্বর বাসা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় দেড় মাসের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিনের বাবা বাউল শিল্পী হুমায়ুন কবির কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘শারমিনের রক্তের সেলগুলো ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে। তার শরীরে নতুন করে রক্ত উৎপাদন হচ্ছে না বলেই দিন দিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে। গত ৯ দিন হাসপাতালের বেডে একই অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো উন্নতি হচ্ছে না।’
সুসুস্থতার বিষয়টি শারমিন নিজেই নিশ্চিত করে বললেন, ‘সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছি। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। দোয়া করবেন আমার জন্য। দোয়া করবেন যেন সুস্থ হয়ে বাংলা লোকগানকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারি।’
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ২০ বছর বয়সী শারমিন আকতার পিতা-মাতার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় বসবাস করেন। শারমিনের দাদা গান গাইতেন। বাবা গান লেখেন, সুর করেন। পছন্দ করেন গাইতেও। ফলে গানটা শারমিনের রক্তে ছিল। অসীম প্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় বাংলা গানের বাগানে।
বাবা-দাদার পথ ধরেই গাইছেন মাটির গান, প্রাণের গান, বাংলা গান। বাবা যেমন শত কষ্টেও হাল ছাড়েননি, কন্যাও পিছিয়ে থাকেনি। শারমিন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ‘আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান-২০১৬’তে। শারমিনের বাবা হুমায়ুন সরকার একাধারে কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার।