ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে আবারও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন সাবেক ওপেনার তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। মাঠের মধ্যে কোহলি সব সময়ই একজন বিতর্কিত চরিত্র। নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রতিপক্ষ দলের ওপর। আর ক্যাপ্টেনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখে সতীর্থরাও উদ্দীপিত হয়ে ওঠেন। আবার অনেকে তাঁর অঙ্গভঙ্গি দেখে রাগ করেন। তাই ২২ গজের কোহলি সব সময় থাকেন শিরোনামে।
কিছুদিন আগেই ওয়ানডে নেতৃত্ব হারানো কোহলির আবেগের বহিঃপ্রকাশ মাঝেমধ্যেই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউনের তৃতীয় টেস্টে কোহলিকে আবারও বিতর্কিত রূপে দেখা গেল। রিভিউ নিয়ে ডিন এলগার বেঁচে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কোহলি। এর পরে যে কাণ্ড করলেন তা অভাবনীয়। স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেল সুপারস্পোর্টকে তিনি তুলোধোনা করেন। কোহলির সঙ্গে এই আক্রমণে যোগ দেন অশ্বিন ও রাহুলও!
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন ২৭তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ডিন এলগারকে বোলিং করছিলেন অশ্বিন। এমন সময় উইকেটের সামনে অশ্বিনের বল আছড়ে পড়ে এলগারের প্যাডে। আবেদনে যথারীতি সাড়াও দিয়ে দেন মরিস ইরাসমাস। তবে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা কিগান পিটারসেনের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন এলগার। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বাউন্স করে বেরিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই বেঁচে যান এলগার।
প্রোটিয়াদের রিভিউ জয়ের পর কোহলির আচরণে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্টার স্পোর্টসকে গম্ভীর বলেছেন, ‘কোহলি অপরিণত। স্ট্যাম্প মাইকে এভাবে কথা বলে সে ভারতের অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এভাবে কোহলি কখনো নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেকে আদর্শ হিসেবে মেলে ধরতে পারবে না। ফার্স্ট ইনিংসের সময় ক্যাচের একটা আবেদনের সময় ফিফটি-ফিফটি সুযোগ ছিল। তখন কেন সে নিশ্চুপ ছিল? মায়াঙ্কের ক্ষেত্রেও তো এ রকম হয়েছে। দ্রাবিড় নিশ্চয় এই ইস্যুতে কোহলির সঙ্গে কথা বলবে।’