ভিকটিম বিদেশ ফেরত। গন্তব্য ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। যথারীতি টিকিট কেটে বাসে চেপে বসলেন। কিছুটা পথ না যেতেই পাশের সিটে বসা যাত্রীর সঙ্গে হালকা আলাপচারিতা অতঃপর ঘনিষ্ঠতা।
যাত্রাপথে একজন কথা বলার সঙ্গী পেয়ে ভালোই সময় কাটছিল ভিকটিমের। কিছুক্ষণ পর সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজে খাবার জন্য যাত্রা বিরতি করলো বাসটি। দুইজন এক টেবিলে বসে খাবার খেলেন অতঃপর অভিযুক্ত ব্যক্তিটি ভিকটিমের খাবার বিল পরিশোধ করে নিজের প্রতি ভিকটিমকে আরও বেশী দূর্বল করে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করলেন।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতে করে দুই কাপ কফি এনে ভিকটিমকে কফি পানের জন্য অনুরোধ করলেন। ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির কারণে তা প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না, পান করলেন সেই কফি। তারপর যখন তার জ্ঞান ফিরলো তিনি নিজেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে দেখতে পেলেন। খুঁজে পেলেন না তার ব্যাগে থাকা বিদেশে কষ্টার্জিত টাকায় কেনা স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা সমস্ত টাকা এবং আশেপাশে কোথাও দেখতে পেলেন না তার সেই সহযাত্রীটিকে। তার বুঝতে বাকি রইল না, সে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেন এবং র্যাব -১২, সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানির নিকট সহযোগিতা চাইলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব -১২, সিরাজগঞ্জ তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে, ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গত ২২/০১/২০২২ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থেকে সেই অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা সহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় :
*স্বর্ণালঙ্কার- ১৮ ভরি ০২ আনা এবং মোবাইল ফোন – ০৩ টি।
সূত্র -র্যাব-১২