তিন ফরম্যাটে দেশের সেরা ওপেনার, সর্বোচ্চ রান এবং সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এর পেছনের কারণ তামিমের স্ট্রাইক রেট। যদিও তামিম এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, দলের চাহিদা অনুযায়ীই ব্যাট করেন তামিম। এসব নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে।
অবশেষে একদিন আগে টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের ছুটি নিয়েছেন তামিম। তার পরদিনই তামিমের রুদ্ররূপ দেখেছে বিপিএল।
গতকাল শুক্রবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন তামিম। এটা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের আর কারও নেই। ৯ উইকেটে বিশাল জয়ের পর তামিম ইকবাল বলেন, ‘নিজের দক্ষতা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, সেটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। ক্রিকেটীয় শটই খেলা উচিত। টি-টোয়েন্টি এমন ক্রিকেট নয় যে প্রতিটি বলই মারার চেষ্টা করতে হবে। ক্রিকেটীয় শট খেলা উচিত। তাহলে এই সংস্করণেও সফল হওয়া যাবে। ‘
আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭৫ রানের বড় স্কোর গড়েছিল সিলেট। তামিমের তাণ্ডবে ৩ ওভার হাতে রেখেই সেই স্কোর টপকে যায় ঢাকা। তামিম-শাহজাদের ওপেনিং জুটিতে আসে ১৭৩ রান। আফগান তারকা শাহজাদ খেলেন ৩৯ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস। আত্মবিশ্বাসী তামিম আরও বলেন, ‘লক্ষ্য ২২০ রান হলেও হয়তো আমরা জিততে পারতাম। আমি জানতাম, যদি আমরা ভালো শুরু করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। সৌভাগ্যবশত আমি ও শাহজাদ অসাধারণ একটি শুরু পাই। আর এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘