যশোরের চৌগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় পাতিবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ঠান্ডু বিশ্বাস (৫০) নিহত হয়েছেন। এ হামলায় উভয় পক্ষের আরো ছয়জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পাতিবিলা বাজারে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে পাতিবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন ও ঠান্ডু বিশ্বাস অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। মূলত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কারণে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে ওঠেন রুহুল আমিন। নির্বাচনের পর থেকে তাদের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হতে থাকে। গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো বাজারে চা খেতে যান নয়া ইউপি সদস্য ঠান্ডু বিশ্বাস। এ সময় তার সাথে আরো ১০-১২ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আকস্মিকভাবে সাবেক মেম্বার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে টিটো, শরিফ হোসেন, ফারুক হোসেন, সেলিম, কামাল হোসেনসহ ৩০-৪০ জন বাঁশের লাঠি, বেলচা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলার প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য ঠান্ডু বিশ্বাস মারাত্মক আহত হন। একই সাথে হামলায় আহত হন পাতিবিলা গ্রামের টিটো হোসেন (৩২), সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক (৫০), আব্দুল হামিদ (৪৫), মকবুল হোসেন (৩৫), অসিম কুমার ঘোষ (৩৫), মমিনুর রহমান মমিনসহ (৪৫) সাত-আটজন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য ঠান্ডু বিশ্বাসের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পেটে ছুরির আঘাতে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় এবং অতিরিক্তি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসক জানান।
এদিকে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ও হত্যা মামলার আসামি সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন, শরিফুলসহ পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। ঘটনার সাথে জড়িত ও হত্যা মামলার আসামি পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।